• তাজা খবর

    বই নোটঃ কর্মপদ্ধতি


    বই নোটঃ কর্মপদ্ধতি
    বই নোটঃ কর্মপদ্ধতি
     
    বই নোটঃ কর্মপদ্ধতি

    • কর্মপদ্ধতির সংজ্ঞাঃ যে পদ্ধতি দ্বারা কর্মসূচী অথবা কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করা হয়তাকে কর্মপদ্ধতি (Manner of work/ Method of work) বলে। 

    ভুমিকাঃ কর্মপদ্ধতি” বইটির ভুমিকাকে মোটামুটি ভাবে ছয় ভাগে ভাগ করা যায়। 


    সেগুলো হলোঃ 

    ১. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য 

    ২. কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতি 

    ৩. বৈজ্ঞানিক কর্মপদ্ধতি 

    ৪. আমাদের ও বাতিলের কর্মপদ্ধতি 

    ৫ ইতিহাস ঐতিহ্য 
    ৬. হিকমাত বা জ্ঞানগর্ভ 

    •  কর্মপদ্ধতির বৈশিষ্ট্যঃ 

    ১. রাসুল (সঃ)-এর অনুসৃত পদ্ধতি 

    ২. বিজ্ঞান সম্মতযুক্তি ভিত্তিক 
    ৩. ইসলামী রেনেসাঁর ইতিহাসলব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত। 
    ৪. সময়োপযোগী ও বাস্তবধর্মী 
    ৫. পরিবেশ ও পরিস্থিতির আলোকে পরিবর্তনশীল। 
    ৬. কর্মপদ্ধতির কৌশলগত দিক পরিবেশ পরিস্থিতির আলোকে পরিবর্তনশীল  
    • কর্মপদ্ধতি বুঝার জন্য প্রয়োজন 

    ১. বার বার অধ্যয়ন 

    ২. চিন্তাগবেষণা ও অধ্যবসায় 

    ৩. সক্রিয় কাজ 

    ৪. আলোচনা-পর্যালোচনা 

    . পুরাতন ও দায়িত্বশীল কর্মীদের অভিজ্ঞতা 
    •  বইটি ২ ভাগে বিভক্তঃ - 

                     -ভূমিকা   

                    -মূল বই 

    • ভূমিকা ৬ ভাগে বিভক্ত 

    - শিবিরের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য উদ্দেশ্য ।

    - ছাত্র শিবির কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রতিষ্ঠার কারণ।



    কর্মপদ্ধতির : ব্যাখ্যা প্রয়োজনীয়তা 
    কর্মপদ্ধতি ছাড়া কোন আন্দোলন সফলকাম হতে পারে না।
    কর্মশক্তিজনশক্তি এবং জনসমর্থনের সুমাঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার 
    প্রতিটি কর্মীর যোগ্যতাকর্মদক্ষতাচিন্তাশক্তিআন্দোলনের পিছনে সমর্থন সবকিছু আল্লাহ প্রদত্ত আমানত এ আমানতের সুষ্পষ্ট ব্যবহারের জন্য যথাযথসুষ্ঠ কর্মপদ্ধতির প্রয়োজন তা না হলে তা খেয়ানতের শামিল হবে।

    বাতিল মতাদর্শের সাথে পার্থক্যঃ   
    (১) দর্শনগত      
    (২) পদ্ধতিগত 
    রাসুল (সঃ) এর অনুসৃত পদ্ধতিউৎস। 

    প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণঃ আল্লাহর এই জমিনে সকল প্রকার যুলুম ও নির্যাতনের মূলোচ্ছেদ করে আল কোরআন ও আল হাদীসের আলোকে ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়ের সৌধের উপর এক আদর্শ ইসলামী সমাজ গড়ে তোলার মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। চমক লাগানো সাময়িক কোন লক্ষ্য হাসিল এর উদ্দেশ্য নয়।

    পাঁচ দফা কর্মসূচী ও তার বাস্তবায়নঃ
    সক্রিয় কর্মীর গুণাবলী: আটটিঃ 
    ১. মজবুত ঈমান 
    ২. খোদাভীতি 
    ৩. আদর্শের সুষ্পষ্ট জ্ঞান 
    ৪. আন্তরিকতা 
    ৫. নিষ্ঠা  
    ৬. কর্মস্পৃৃহা 
    ৭. চারিত্রিক মাধুর্যতা 
    ৮. কর্মপদ্ধতির যথার্থ অনুধাবন
             
    লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল (সা.) প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানুষের সার্বিক জীবনের পূণর্বিন্যাস সাধন করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন। 
    পাঁচ দফাঃ  
    ১. দাওয়াত 
    ২. সংগঠন 
    ৩. প্রশিক্ষণ 
    ৪. ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র সমস্যার সমাধান 
    ৫. ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ 

    প্রথম দফা কর্মসূচী দাওয়াত-“ তরুন ছাত্র সমাজের কাছে ইসলামের আহবান পৌছিয়ে তাদের মাঝে ইসলামী জ্ঞান অর্জন এবং বাস্তব জীবনে ইসলামের পূর্ণ অনুশীলনের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করা।” 

    প্রথম দফার করনীয় দিকঃ তিনটি 
    ১. ইসলামের ব্যাপক প্রসার 
    ২. ছাত্রদের মাঝে ইসলামী জ্ঞান অর্জন 
    ৪. ইসলামী অনুশাসন মানা 

    দাওয়াতের করণীয় কাজঃ ০৮ টি: 
    ১. ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ও সম্প্রীতি স্থাপন 
    ২. সাপ্তাহিক ও মাসিক সাধারণ সভা 
    ৩. সিম্পোজিয়াম ও সেমিনার 
    ৪. চা-চক্র ও বনভোজন 
    ৫. নবাগত সংবর্ধনা 
    ৬. বিতর্ক সভারচনা এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ও সাধারণ জ্ঞানের  আসর। 
    ৭. পোষ্টারিং দেওয়াল লিখনপরিচিতি ও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সাময়িকী বিতরণ। 
    ৮. সিডি.ভিসিডি,এসএমএস,এমএমএস,ই-মেইল 

    টার্গেটকৃত ছাত্রের গুণাবলীঃ ৫টিঃ
    ১. মেধাবী ছাত্র 
    ২. বুদ্ধিমান ও কর্মঠ 
    ৩. চরিত্রবান 
    ৪. নেতৃত্বের গুনাবলী সম্পন্ন 
    ৫. সমাজে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রভাবশালী। 

    ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ও সম্প্রীতি স্থাপনের পন্থাঃ ৫ টি 
    ১. পরিকল্পনা 
    ২. সম্প্রীতি স্থাপন 
    ৩. ক্রমধারা অবলম্বন 
    ৪. যোগাযোগকারীর বৈশিষ্ট্য 
    ৫. ক্রমান্বয়ে কর্মী পর্যায়ে নিয়ে আসার উপায়  

    ক্রমধারা অবলম্বনঃ 
    - প্রথম সাক্ষাতেই মূল দাওয়াত পেশ করা যাবে না। 
    প্রথমত:-টার্গেটকৃত ছাত্রের মনমগজে প্রতিষ্ঠিত ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন সম্পর্কে যাবতীয় ভুল ধারণার অসারতা বুদ্ধিমত্তার সাথে তুলে ধরতে হবে। 
    - দ্বিতীয়ত:- আখেরাত তথা পরকাল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা দিতে হবে এবং যাবতীয় সমস্যার সমাধানে ইসলামের সুমহান আদর্শের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। 
    - তৃতীয়ত:- ইসলামী আন্দোলন ও সাংগাঠনিক জীবনের প্রয়োজনীতা উপলদ্ধি করাতে হবে। 


    যোগাযোগ কারীর বৈশিষ্ট্যঃ ১৩টি 
    ১. কম কথা বলা 
    ২. অত্যাধিক ধৈর্য্যরে পরিচয় দেয়া 
    ৩. বেশী কথার পরিবর্তে চারিত্রিক মাধুর্য দিয়ে প্রভাব সৃষ্টি করা।  
    ৪. ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ও স্পষ্ট ধারণা রাখা। 
    ৫. কোন প্রকার প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে ব্যক্তিত্ব অক্ষুন্ন রেখে সময় নেয়া। 
    ৬. গোজামিলের আশ্রয় না নেয়া 
    ৭. ছাত্রের মন মানসিকতার দিকে লক্ষ্য রাখা 
    ৮. অভিজ্ঞ চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করা 
    ৯. দুর্বলতার সমালোচনা না করে সৎ গুনাবলী বিকাশে সহযোগিতা করা।
    ১০. ব্যবহার অমায়িক হওয়া। 
    ১১. সুখে-দুঃখে অংশীদার হওয়া 
    ১২. মনকে অহেতুক ধারণা থেকে মুক্ত রাখা। 
    ১৩. এক সঙ্গে ভ্রমননাস্তা করাখাওয়ানিজ বাসায় নিয়ে আসাতার বাসায় যাওয়াউপহার দেওয়া। 

    ক্রমাম্বয়ে কর্মী পর্যায়ে নিয়ে আসার উপায়ঃ- ৫টি 
    ১. সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আগ্রহী করা। 
    ২. সাধারণসভাচা-চক্র ও বনভোজনে শামিল করা 
    ৩. পরিকল্পিত ভাবে বই পড়ানো। 
    ৪. বিভিন্ন ইবাদতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। 
    ৫. সময় সময় মন মানসিকতা বুঝে ছোট খাট কাজ দেওয়া। 

    প্রথম দফা দাওয়াতের অতিরিক্ত কাজঃ 
    ০১.  গ্রুপ দাওয়াতী কাজ 
    ০২.  দাওয়াতী গ্রুপ প্রেরণ 
    ০৩.  মসজিদভিত্তিক দাওয়াতী কাজ 
    ০৪.  মোর্হারমাদের মাঝে কাজ 
    ০৫.  দাওয়াতী সপ্তাহ ও পক্ষ পালন 

    দ্বিতীয় দফা সংগঠনঃ যে সকল ছাত্র ইসলামী জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত তাদেরকে এ সংগঠনের অধিনে সংঘবদ্ধ করা।  

    সংবিধান অনুযায়ী স্তরঃ 
    ১. সদস্য 
    ২. সাথী 

    কর্মপদ্ধতি আরো দুস্তরঃ 
    ৩. কর্মী 
    ৪. সমর্থক 

    কর্মী হওয়ার শর্তঃ ৪ টি 
    ১. দাওয়াতী কাজ করা 
    ২. নিয়মিত ব্যক্তিগত রিপোর্ট রাখা 
    ৩. নিয়মিত বায়তুল মালে এয়ানত দেয়া। 
    ৪. প্রোগামাদিতে উপস্থিত হওয়া। 

    একজন কর্মীর কাজ ৮টি 
    ১. নিয়মিত কোরআন হাদীস বুঝে পড়ার চেষ্টা করা। 
    ২. নিয়মিত ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা। 
    ৩. ইসলামের প্রাথমিক দাবী সমূহ মেনে চলার চেষ্টা করা। 
    ৪. নিয়মিত বায়তুল মালে এয়ানত দেয়া। 
    ৫. নিয়মিত ব্যক্তিগত রিপোর্ট রাখা। 
    ৬. প্রোগামাদিতে উপস্থিত হওয়া। 
    ৭. অপরের কাছে সংগঠনের দাওয়াত পৌঁছানো। 
    ৮. সংগঠনে কতৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করা। 

    সাথীঃ 
    সাথী হওয়ার শর্ত সংবিধানের ৯নং ধারা অনুযায়ী - 
    - সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে ঐক্যমত পোষণ করা। 
    - সংগঠনের কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির সাথে সচেতনভাবে একমত হওয়া। 
    - ইসলামের প্রাথমিক দায়িত্বসমূহ পালন করা। 
    - সংগঠনের সামগ্রিক তৎপরতায় পূর্ণভাবে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া। 

    সদস্যঃ শর্ত ৪নং ধারা অনুযায়ী ৬টি 
    ১. সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে জীবনের লক্ষ্য হিসেবে নেয়া। 
    ২. কর্মসূচী ও কর্ম পদ্ধতির সাথে ঐক্যমত পোষণ করা। 
    ৩. সংবিধান সম্পূর্ণরূপে মেনে চলা। 
    ৪. তার জীবনে ইসলাম নির্ধারিত ফরজ ও ওয়াজিবসমূহ যথাযথভাবে সম্পাদন করা। 
    ৫. কবীরা গুনাহসমূহ থেকে দূরে থাকা। 
    ৬. সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের বিপরীত কোন সংস্থার সাথে সম্পর্ক না রাখা। 


    দ্বিতীয় দফার করনীয় কাজঃ ১০টি  
    ১. কর্মী বৈঠক   
    ২. সাথী বৈঠক 
    ৩. সদস্য বৈঠক   
    ৪. দায়িত্বশীল বৈঠক 
    ৫. কর্মী যোগাযোগ    
    ৬. বায়তুলমাল 
    ৭. সাংগঠনিক সফর   
    ৮. পরিচালক নির্বাচন 
    ৯. পরিকল্পনা  
    ১০. রিপোর্টিং  

    কর্মী যোগযোগের পদ্ধতিঃ ৭টি 
    উদ্দেশ্যঃ 
    - নিস্ক্রিয় কর্মীকে সক্রিয় করা
    - সক্রিয়কে আরো সক্রিয় করা ও 
    - ভুল বুঝাবুঝি দূর করা 

    ১. পরিকল্পনা   
    ২. স্থান ও সময় নির্বাচন 
    ৩. ঐকান্তিকতা 
    ৪. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্য আলোচনা করা। 
    ৫. সাংগঠনিক আলোচনা  
    ৬. সার্বিক আন্দোলনের আলোচনা। 
    ৭. সালাম ও দোয়া বিনিময়। 

    পরিকল্পনা প্রণয়নে লক্ষনীয় বিষয়ঃ ৬টি 
    ১. জনশক্তি ( শ্রেণী বিন্যাসসহ) 
    ২. কর্মীদের মান 
    ৩. কাজের পরিধি ও পরিসংখ্যানমূলক তথ্য
    ৪. অর্থনৈতিক অবস্থা  
    ৫. পারিপার্শি¦ক অবস্থা 
    ৬. বিরোধী শক্তির তৎপরতা 

    কর্মী বৈঠকে এজেন্ডা/ কর্মসূচীঃ 
    - অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াত 
    - ব্যক্তিগত রিপোর্ট পেশমন্তব্য ও পরামর্শ 
    - পরিকল্পনা গ্রহন 
    - কর্মবন্টন 
    - সভাপতির বক্তব্য ও মোনাজাত

    বায়তুলমালের আয়ের উৎস দুটি 
    ১. কর্মীদের এয়ানত 
    ২. শুভাকাংখীদের দান 

    তৃতীয় দফা প্রশিক্ষণঃ এই সংগঠনের অধিনে সংঘবদ্ধ ছাত্রদেরকে ইসলামী জ্ঞান প্রদান এবং আদর্শ চরিত্রবানরুপে গড়ে তুলে জাহেলিয়াতের সমস্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী হিসেবে গড়ার কার্যকরী ব্যবস্থা করা। 

    এ দফার কাজঃ ১৩ টিঃ  
    ১. পাঠাগার প্রতিষ্ঠা 
    ২. ইসলামি সাহিত্য পাঠ ও বিতরণ 
    ৩. পাঠচক্রআলোচনাচক্রসামষ্টিক অধ্যয়ন 
    ৪. শিক্ষাশিবিরশিক্ষা বৈঠক 
    ৫. স্পীকারস্ ফোরাম 
    ৬. লেখক শিবির 
    ৭. শবেদারী বা নৈশ ইবাদত 
    ৮. সামষ্টিক ভোজ 
    ৯. ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ 
    ১০. দোয়া ও নফল ইবাদত 
    ১১. এহতেসাব বা গঠনমূলক সমালোচনা  
    ২. আত্ম সমালোচনা 
    ১৩. কোরআন তালিম। 

    পাঠচক্রঃ পাঠচক্রের শর্ত ৯টিঃ- 
    ১. সদস্য নির্দিষ্টকরণ 
    ২. পরিচালক নির্ধারণ 
    ৩. বিষয়বস্তু নির্ধারণ 
    ৪. লক্ষ্য নির্ধারণ  
    ৫. অধ্যয়ন 
    ৬. নোট 
    ৭. সময়ানুবর্তিতা 
    ৮. মনোযোগ 
    ৯. সক্রিয় সহযোগিতা 

    আলোচনা চক্রঃ 
    কর্মীদের (সর্বোচ্চ সময় ৪৫ মি. 
    = সাথীদের ----- ২-২/৩০ মি. 
    - শববেদারী বা নৈশ এবাদত আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু ওয়া বেকা আমানতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইকা আনাবতু ওয়া বেকা আসামতুওয়া ইলাইকা হাকামতু।” (২৮ পৃষ্ঠা)

    তওবার নিয়মঃ 
    - ঐকান্তিক ভাবে নিজের ভুলের স্বীকৃতি দেয়া 
    - ভুলের জন্য আল্লাহর কছে ক্ষমা চাওয়া। 
    - দ্বিতীয়বার ভুল না করার জন্য ওয়াদা করা। 
    নামাজ রোজা বা আর্থিক  কুরবানীর বিনিময়ে              
    - ভুলের কাফ্ফারা আদায় করা। 

    আত্মসমালোচনার পদ্ধতিঃ 
    ১. সময় নির্বাচন 
    ২. আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে জায়নামাজে  বসা। 
    ৩. সারাদিনের কর্মব্যস্ততা স্মরণ করা। 
    ৪. ফরজ ও ওয়াজিব আদায়ে আন্তরিকতার চিন্তা। 
    ৫. সাংগঠনিক কাজ নিয়ে চিন্ত। 
    ৬. ব্যবহারিক কাজ নিয়ে চিন্তা। 
    ৭. আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা । 

    এহ্তেছাবের নিয়মঃ 
    কোন ভাইয়ের ত্রুটি বিচ্যুতি দেখলে তার এই দুর্বলতা থেকে তাকে হেফাজতের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট ভাইয়ের সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে হবে এবং তার দুর্বলতাগুলো জানিয়ে দিতে হবে। 
    - কারো দোষ দেখানো বড় কঠিন কাজ। এজন্য সময়মেজাজ ও মনোভাব ইত্যাদি বিবেচনা করে তার একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে তার দোষ-ত্রুটি তাকে জানাতে হবে। 
    - ব্যক্তিগত যোগাযোগে সংশোধন না হলে কর্মীসাথী বা সদস্য বৈঠকে এহতেছাবের সময় তুলে ধরতে হবে।
    - এহতেছাব হবে গঠনমূলক। কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা অথবা কারো দোষ-ত্রুটি তালাশ করার জন্য নয়। 

    ৪র্থ দফাঃ ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র সমস্যাঃ আদর্শ নাগরিক তৈরীর উদ্দেশ্যে ইসলামী মুল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধনের দাবীতে সংগ্রাম ও ছাত্র সমাজের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান। 

    এ দফার দিক ২টিযথা  
    ১. ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম 
    ২. ছাত্রসমাজের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান।

    ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় করণীয়ঃ 
    - প্রথমতঃ  জেনে নিতে হবে- 
    ১. ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে কি বুঝায়
    ২. ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য কি কি
    ৩. ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা কিভাবে প্রবর্তন করা যায়
    ৪. বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি কি কি?
    ৫. এর সুদূর প্রসারী ফল কি
    ৬. বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার মৌলিক গলদ কোথায়
    দ্বিতীয়তঃ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমত সংগ্রহ করতে হবে। 
    - তৃতীয়তঃ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে পোষ্টারিংপত্রিকায় বিবৃতিদিবস ও সপ্তাহ পালন। 
    - চতুর্থতঃ ইসলামী চিন্তাবিদদের নিকট শিক্ষা ব্যবস্থা ইসলামী করণের পরিকল্পনা পেশ করতে হবে।
    পঞ্চমতঃ  শিক্ষা ব্যবস্থার উপর বিশেষ সংস্করন বের করতে হবেঃ 

    ছাত্র সমস্য দুধরণের,   
    ১. ব্যক্তিগত   
    ২. সমষ্টিগত 
    ব্যক্তিগত সমস্যঃ-  
    - ছাত্রদের লজিং না থাকা 
    - বেতন দানে ও পরীক্ষার ফি দিতে অক্ষমতা  
    - বই কেনার অসামর্থ 
    - সমষ্টিগত সমস্যঃ- 
    - ভর্তি ও আসন সমস্য  
    - শিক্ষকের অভাব 
    - পাঠাগারের অভাব  
    - মসজিদ না থাকা  
    - কেন্টিনের সমস্যা  
    - নির্যাতন মূলক সমস্যা 
    - পাঠ্যবই এর মূল্য ও বেতন বৃদ্ধি। 

    সমস্য সমাধানে করণীয়ঃ- 
    - প্রথমতঃ- সমস্যার কারণ নির্নয় 
    - দ্বিতীয়তঃ- প্রতিবাদ সভানিন্দা প্রস্তাব গ্রহণপোষ্টারিং পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান ইত্যাদি। 
    - তৃতীয়তাঃ- প্রতীকি ধর্মঘট পালন ও সুশৃঙ্খল আন্দোলন। 

    পঞ্চম দফা ইসলামী সমাজ বিনির্মানঃ অর্থনৈতিক শোষনরাজনৈতিক নিপীড়ন এবং সাংস্কৃতিক গোলামী হতে মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামী সমাজ বিনির্মানে সর্বাতœক প্রচেষ্টা চালানো। 

    এ দফার দিক ২টিযথা
    ১. যোগ্য নেতৃত্ব ও কর্মীবাহিনী গঠন 
    ২. বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন 

    যোগ্য নেতৃত্ব ও কর্মীবাহিনী গঠনে কাজঃ 
    - ক্যারিয়ার তৈরী   
    - নেতৃত্ব তৈরী 
    - কর্মী তৈরী   -
    - জ্ঞান অর্জন 

    বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহনে কাজ 
    ১. সহযোগিতা  
    ২. পরিবেশ সৃষ্টি ও চাপ:  চারিত্রিক মাধুর্য দিয়ে জাতীয় জীবনে একটা পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টির তৎপরতা চালাতে হবে। এ তৎপরতা যখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ছাত্রদেরকে সংশ্লিষ্ট করতে পারবে তখন সমাজ ও জাতীয় জীবনে তা একটা শক্তিরূপে আত্মপ্রকাশ করবে। আর এহেন চারিত্রিক শক্তি দিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর

    কোন মন্তব্য নেই