• তাজা খবর

    সংবিধান নোট - বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

     সংবিধান  pdf note



    সংবিধান  

    সংবিধানের সংজ্ঞাঃ 
    কোন রাষ্ট্রের বা সংগঠনের গঠন পরিচালনাসংরক্ষণ বিধি যে পুস্তকে লেখা থাকে তাকে সংবিধান বলে। 
    - যার ভিত্তিতে রাষ্ট্রসরকারসংগঠন বা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় তাকেই সংবিধান বলে। 
    - সংবিধান বলতে সেই সকল লিখিত ও অলিখিত নিয়মাবলীকে বুঝায় যা কোন রাষ্ট্রের ও সরকারের গঠনইহার ক্ষমতা ব্যবহারের ও বণ্টনের নীতি নির্ধারণ করে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ করে। 
    - আইনের সমষ্টিকে সংবিধান বলে। 

    সংবিধান কি
    - সংগঠনের মৌলিক দলিল 
    - সংগঠনের জীবন পদ্ধতি 
    - আইনের সমষ্টি 
    - মৌলিক নীতিমালা 

    সংবিধান শব্দের অর্থ 
    ১. সংগঠন + বিধান      
    ২. মৌলিক দলিল 
    ৩. মৌলিক নীতিমালা    
    ৪. সরকারের ভিত্তি 

    পরিভাষা :  বাংলায় গঠনতন্ত্রশাসনতন্ত্র  In English - Constitution   উর্দুতে - রাহনুমাআরবীতে- দস্তুরফার্সিতে - লাহমুদান 

    সংবিধানের উপাদান : 
    - নেতৃত্ব      
    - কর্মীবাহিনী  
    - কর্মসূচী   
    - আদর্শ    
    - লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

    সংবিধানের প্রকারভেদ :  মূলত দুই প্রকার :  
    ১. রাষ্ট্রীয় সংবিধান,  
    ২. দলীয় সংবিধান। 

    সংবিধানের শ্রেণীবিন্যাস : লিখিত ও অলিখিত 
    - সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয়  
    - যুক্তরাষ্ট্রীয় 
    - এককেন্দ্রীক  
    - প্রেসিডেন্সিয়াল  
    - সংসদীয়  
    - প্রজাতান্ত্রিক 
    - রাজতান্ত্রিক  

    মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কোডাকস সংবিধানকে দুভাগে ভাগ করেছেন- 
    A. Bourgeois Constitution (বুর্জোয়া সংবিধান) 
    B. Working Class Constitution (শ্রমিক শ্রেণীর সংবিধান) 

    লোয়েন ষ্টাইন সংবিধানকে ৩ ভাগে ভাগ করেছেন। যথা-
    মৌলিক ও মৌলিকতাবিহীন সংবিধান (Original & Derivative Constitution) 
    - নীতিসংঘবদ্ধ ও নিরপেক্ষ সংবিধান (Ideologically Programmatic & Neutral Constitution)
    - নিয়মনিষ্টনামমাত্র ও শব্দার্থের দিক থেকে স্বীকৃত সংবিধান (Narrative, Nominal and Semantic Constitution

    সংবিধান প্রণয়ন পদ্ধতি : 
    অনুমোদনসূত্রে 
    গণপরিষদ বা ইচ্ছাকৃত রচনার মাধ্যমে 
    ধারাবাহিক বিবর্তনের মাধ্যমে 
    বিপ্লবী পরিষদের মাধ্যমে। 

    সংবিধানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা 
    - সকল চিন্তাকে একই ধারায় কেন্দ্রীভূত করার জন্য। 
    - চিন্তাধারাকে একই ধারায় প্রবাহিত করার জন্য। 
    - সংগঠনপ্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রের হেফাজত ও গতিশীলতার জন্য। 
    - ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য। 
    - নেতৃত্ব ও কর্মী বাহিনীকে সুশৃঙ্খল পরিচালনা 
    - দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব পালনের সমন্বয় সাধনের জন্য। 
    - মূল্যবোধ সংরক্ষণের জন্য। 

    ঐতিহ্য : 
    - ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত যে ঘটনা কালের পরিক্রমায় অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে যায় তাহাই ঐতিহ্য।
    - সময়ের বিবর্তনে যেসব বিষয় শিক্ষণীয় হিসেবে পরিণত হয়েছে সেটাই ঐতিহ্য। 

    সংবিধানের বৈশিষ্ট্য : 
    - স্বল্প শব্দমালায় গভীর তাৎপর্য ও ব্যাপক। 
    - সংবিধানের শব্দগুলো অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। 
    - অত্যধিক জটিল বা অত্যধিক সহজবোধ্য নয়। 
    - সংবিধানের কিছু অলিখিত দিক থাকা। 
    - পরিবর্তনশীল হওয়া। 
    - মৌলিক বিষয়সমূহ সংক্ষিপ্ত হওয়া। 
    - সার্বভৌমত্বের ঘোষণা থাকা। 
    - জনগণের অধিকারসমূহ লিখিত থাকা। 

    আদর্শ ও উত্তম সংবিধানের বৈশিষ্ট্য : 
    - সহজবোধ্যলিখিত ও সুস্পষ্ট। 
    - সংক্ষিপ্ত ও জটিলতামুক্ত। 
    - মধ্যমপন্থীসুপরিবর্তনীয় নয় আবার দুষ্পরিবর্তনীয়ও নয়। 
    - বক্তব্য সহজবোধ্য ও সুস্পষ্ট। 
    - নাগরিকদের বা কর্মীদের মৌলিক দায়দায়িত্ব ও অধিকার বর্ণনার সুবিন্যস্ততা। 
    - সংবিধান সংশোধনের ধারা থাকা। 
    - সামাজিক ঐতিহ্য ও জাতীয় আকাঙ্খার প্রতিচ্ছবি। 
    - দায়িত্বশীলদের সুষ্পষ্ট বর্ণনা 
    - যুগোপযোগী। 

    আমাদের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য : 
    - কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক। 
    - ভাষা সুস্পষ্টমনোমুগ্ধকরসহজ ও প্রাঞ্জল। 
    - পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ সংবিধান। 
    - জটিলতামুক্ত। 
    - যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত। 
    - মধ্যমপন্থীনমনীয়তা ও অনমনীয়তার সমন্বয়। 
    - ক্যাডারভিত্তিক জনশক্তি। 
    - ইসলামী মূল্যবোধের সংরক্ষণ। 
    - দায়িত্ব ও ক্ষমতার ভারসাম্য। 
    - শব্দভিত্তিক সংবিধান বাক্যভিত্তিক নয়। 
    - উত্তম নির্বাচন পদ্ধতি। 

    আমাদের সংবিধানের ইতিহাস : 
    - আমাদের সংবিধানটি ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকে রচিত। 
    - ১৯৪১ সালের ২৫ শে আগস্ট লাহোরে ৭৫ জনের ১টি টীমে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মাওলানা মওদুদী (র.) আমীর নিযুক্ত হন। 
    - ১৯৪৬ সালে তারা ১টি ছাত্র সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং ১৯৪৭ সালের ২৩শে ডিসেম্বর ২৫ জন ছাত্রের ১টি মিটিং হয় এবং নসরুল্লাাহ খান আজিজ এর প্রধান হন। ঝঃঁফবহঃং ঋড়ৎঁসআঞ্জুমানে নওজোয়ানজমিয়তে তালাবা ৩টি নাম প্রস্তাব হয়। 
    - ১৯৪৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ইসলামী জমিয়তে তালাবা প্রতিষ্ঠা হয়। সভাপতি-জাফরুল্লাহ খান আজিজ। 
    - ১৯৪৮ সালে সংবিধানের খসড়া তৈরি করেন- খুররম জাহ মুরাদ। 
    - ১৯৪৮ সালে ৩ সদস্য বিশিষ্ট শুরা ১টি বুকলেট তৈরি করে যা দিয়ে ১৯৫১ পর্যন্ত সংগঠন চলে। 
    - ১৯৫১ সালের খুররম জাহ মুরাদ সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সদস্যদের ডাকেন এবং সবার নিকট প্রশ্ন পাঠান এবং একটি খসড়া সংবিধান তৈরী করেন এবং নাম রাখেন রাহে দস্তুর। 
    - ১৯৫৬ সালে ছাত্র সংঘ’ নামে ছাত্র সংগঠনের নাম রাখেন এবং সংবিধানের বাংলায় অনুবাদ করেন মাওলানা আবদুর রহীম। 
    - ১৯৭৩ সালে নতুন করে ১৯শে মার্চ সংবিধান রচনা করা হয়। 
    - এ সময় ৫ সদস্যের কমিটি ছিল 
    ১. আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। 
    ২. মীর কাশেম আলী। 
    ৩. এ.কে.এম. নজির আহমাদ। 
    ৪. আ.ন.ম আব্দুজ জাহের। 
    ৫. মোঃ কামরুজ্জামান। 
    - ১৯৭৬ সালে ১টি বৈঠক ডাকা হয় এবং ইসলামী ছাত্রশিবির নাম রাখা হয়। 
    - সিদ্দিক জামাল ভাই কর্তৃক নাম প্রদান করা হয় বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির। ১৯৭৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি প্রথম কাজ শুরু হয় এবং গঠনতন্ত্রের নাম হয় সংবিধান। 

    ১৯৭৭ সালে কেন্দ্রীয় সভাপতি মীর কাশেম আলীকামরুজ্জামানমাও আবু তাহের। 
    - ১৯৭৯ সালে রাজশাহী মেডিকেলের সদস্য ডাঃ মোরশেদ আলী ভাই নিজের রচিত শিবির সংগীত” পরিবেশন করেন যা পরবর্তীতে শিবির সংগীত” হিসেবে গৃহীত হয়। 
    - ১৯৮১-৮২ এনামূল হক মঞ্জু ভাইসাইফুল আলম খান। 
    - ১৯৮২ আহমেদ আব্দুল কাদের (বাচ্চু) 
    - ১৯৮৩ তাসনীম আলম,   ডা. সৈয়দ আ. মো. তাহের   শামসুল আলম   ডা. আমিনুল ইসলাম মুকুল   আবু জাফর মু. ওবায়দুল্লাাহ   হামিদ হোসাইন আজাদ   রফিকুল ইসলাম খান   মুহাম্মদ শাহজাহান 
    - ১৯৯৯-২০০০ মতিউর রহমান আকন্দ 
    - ২০০১  এহসানুল মাহবুব যুবায়ের 
    - ২০০২-২০০৩ নুরুল ইসলাম বুলবুল 
    - ২০০৪  মজিবুর রহমান মঞ্জু 
    - ২০০৫-২০০৬ মু. সেলিম উদ্দীন 
    - ২০০৬-২০০৭ মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ 
    - ২০০৮  মু. জাহিদুর রহমান 
    - ২০০৯-২০১০ মু. রেজাউল করীম 
    - ২০১১ ডা. ফখরুদ্দীন মানিক 
    - ২০১২-২০১৩ মু. দেলোয়ার হোসাইন  
    - ২০১৪-২০১৫ মু. আব্দুল জব্বার 
    - ২০১৬  মু. আতিকুর রহমান 
    ২০১৭ মু. ইয়াছিন আরাফাত 

    মূল বই চার ভাগে বিভক্ত : 
    ১. পূর্ব কথা 
    ২. ভূমিকা 
    ৩. অধ্যায়সমূহ 
    ৪. পরিশিষ্ট 

    পূর্বকথা ঃ 
    ১. সংবিধান একটি মৌলিক দলীল। 
    ২. সংগঠনের জন্য সংবিধান অনস্বীকার্য। 
    ৩. ছাত্রশিবিরের সংবিধান এক পবিত্র আমানত। 
    ৪. তার প্রতিটি দিক কুরানসুন্নাহ-ইসলামী আন্দোলনের ঐতিহ্যের আলোকে প্রণীত। 
    ৫. শিবিরের সকল তৎপরতা সংবিধানের ভিত্তিতে পরিচালিত। 
    ৬. পরিবেশ পরিস্থিতির আলোকে সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়। 
    ৭. সংবিধান অনুযায়ী কাজ করার জন্য আল্লাহর নিকট তাওফীক কামনা। ভূমিকা তাওহীদ প্রত্যয় বা বিশ্বাস রেসালাত আখেরাত ইসলামী জীবনব্যবস্থা আনুগত্য সিদ্ধান্ত দাওয়াত ইসলামী বিপ্লব               

    সংবিধানের অংশঃ  তিনটি 
    ১. ভূমিকা 
    ২. অধ্যায়সমূহ (তিনটি অধ্যায়) 
    ৩. পরিশিষ্ট 

    ভুমিকা আলোচিত বিষয় ঃ দুইটি   
    ১. ঈমানিয়াত 
    ২. আমানিয়াত 

    ঈমানিয়াতঃ চারটি 
    ১. আল্লাহ মহাশক্তির আধার 
    . আখিরাতের কাঠগড়া 
    ৩. নবী ও রাসুলদের গাইড লাইন 
    ৪. ইসলামী বিধান পূর্ণভাবে গ্রহনই তার মুক্তি। 

    আমালিয়াতঃ তিনটি 
    ১. আল্লাহর আনুগত্য ও রাসুলের (সঃ) অনুসরন 
    ২. হেরার আলোর দিকে আহবান 
    ৩. বিশ্ব  বিপ্লব সাধনে সমস্ত শক্তি ও সামর্থ প্রদান করা।  

    প্রথম অধ্যায়ঃ তিনটি বিষয়-(তিনটি ধারা) 
    ১. নাম  
    ২. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য 
    ৩. কর্মসূচী 

    দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ দুইটি বিষয়-(আটটি ধারা) 
    ১. সদস্য ৫টি ধারা 
    ২. সাথী ৩ টি ধারা 

    তৃতীয় অধ্যায়ঃ বারটি বিষয়- (ঊনচল্লিশ ধারা) 
    ১. কেন্দ্রীয় সংগঠন  ১টি ধারা 
    ২. কেন্দ্রীয় সভাপতি ৬টি ধারা 
    ৩. কার্যকরী পরিষদ  ৭টি ধারা 
    ৪. সেক্রেটারীয়েট ৩টি ধারা 
    ৫. অন্যান্য স্তর ১টি ধারা 
    ৬. সদস্য শাখা ২টি ধারা 
    . সাথী শাখা  ১টি ধারা 
    ৮. নির্বাচন ৩টি ধারা 
    ৯. অর্থ ব্যবস্থা ৫টি ধারা 
    ১০. পদচ্যুতি ৬টি ধারা 
    ১১. সংবিধানের সংশোধন ২টি ধারা 
    ১২. বিবিধ ২টি ধারা 

    পরিশিষ্টঃ 
    ১. সাথীর শপথ 
    ২. সদস্যের শপথ 
    ৩. সভাপতির শপথ 
    ৪. কার্যকরী পরিষদের শপথ 

    নামঃ 
    ধারা-১ঃ এই সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির 
    লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
    ধারা-২ঃ এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে অল্লাহ প্রদত্ত রাসুল (সঃ) প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানুষের সার্বিক জীবনের পুনর্বিন্যাস সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। 
    কর্মসূচীঃ
    ধারা-৩ঃ এই সংগঠনের কর্মসূচী-
     একঃ তরুণ ছাত্রসমাজের কাছে ইসলামের আহবান পৌছিয়ে তাদের মাঝে ইসলামী জ্ঞান অর্জন এবং বাস্তব জীবনে ইসলামের পূর্ণ অনুশীলনের দায়িত্বানুভুতি জাগ্রত করা।  
    দুইঃ যে সকল ছাত্র ইসলামী জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত তাদেরকে সংগঠনের অধিনে সংঘবদ্ধ করা।  
    তিনঃ এই সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ ছাত্রদেরকে ইসলামী জ্ঞান প্রদান এবং আদর্শ চরিত্রবানরূপে গড়ে তুলে জাহেলিয়াতের সমস্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করার যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী হিসেবে গড়ার কার্যকরী ব্যবস্থা করা।  
    চারঃ  আদর্শ নাগরিক তৈরীর উদ্দেশ্যে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধনের দাবীতে সংগ্রাম ও ছাত্রসমাজের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান।  
    পাঁচঃ অর্থনৈতিক শোষণরাজনৈতিক নিপীড়নএবং সাংস্কৃতিক গোলামী হতে মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামী সমাজ বিনির্মানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। 
    সদস্যঃ 
    ধারা-৪ঃ একজন শিক্ষার্থী যদি সংগঠনের সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে তার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করেনএ সংগঠনের কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির সাথে পূর্ণ ঐক্যমত পোষণ করেন ও তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেনএ সংগঠনের সংবিধানকে সম্পূর্ণরূপে মেনে চলেনতার জীবনে ইসলাম নির্ধারিত ফরজ ও ওয়াজিব সমূহ যথাযথভাবে পালন করেনকবীরা গোনাহ সমূহ থেকে দুরে থাকেন এবং সংগঠনের লক্ষ্য ও কর্মসূচীর বিপরীত কোন সংস্থার সাথে সম্পর্ক না রাখেনতাহলে তিনি এই সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করতে পারেন। 

    ধারা-৬ঃ কোন সদস্য যদি সংবিধানের ৪ নং ধারায় বর্ণিত বিষয়সমূহ আংশিক বা পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেন অথবা সদস্য হওয়াকালীন প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন অথবা সংগঠনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেন অথবা তাকে সংশোধনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংগঠনের কাজে অবহেলা করে চলেনতাহলে কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত নির্ধারিত পন্থায় তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে। 

    ধারা-০৮ঃ কোন সদস্যের ছাত্রজীবন সমাপ্ত হলে তার পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবার দুমাস পর তার সদস্যপদ আপনা-আপনি বিলুপ্ত হবে। 
    সাথীঃ
    ধারা-৯ঃ যদি কোন শিক্ষার্থী সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে ঐক্যমত পোষণ করেনএ সংগঠনের কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির সাথে সচেতনভাবে একমত হনইসলামের প্রাথমিক দায়িত্বসমূহ পালন করেন এবং সংগঠনের সামগ্রিক তৎপরতায় পূর্ণভাবে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতি দেনতাহলে তিনি এ সংগঠনের সাথী হতে পারেন। 

    ধারা-১১ঃ যদি কোন সাথী সংবিধানের ৯ নং ধারায় বর্ণিত বিষয়সমূহ আংশিক বা পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেনতাহলে কেন্দ্রীয় সভাপতি বা তার স্থানীয় প্রতিনিধি উক্ত সাথীর সাথীপদ বাতিল করতে পারবেন।
            
    কেন্দ্রীয় সংগঠনঃ 
    ধারা-১২ঃ কেন্দ্রীয় সংগঠন কেন্দ্রীয় সভাপতিকার্যকরী পরিষদ এবং একটি সেক্রেটারীয়েট সমন্বয়ে গঠিত হবে। 
    কেন্দ্রীয় সভাপতিঃ 
    ধারা-১৬ঃ কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছেএই সংগঠনের মুল উদ্দেশ্য হাসিলপরিচালনাকর্মসূচীর বাস্তবায়ন ও সর্বোৎকৃষ্ট সাংগঠনিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ। 
    কার্যকরী পরিষদঃ
    ধারা-১৯ঃ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতি একশত পঁয়তাল্লিশ জনে একজন হারে এবং অবশিষ্ট সংখ্যার জন্য একজন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে কার্যকরী পরিষদ এক বছরের জন্য গঠিত হবে এবং সভাপতি প্রয়োজন বোধ করলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে নাএমন সংখ্যক সদস্যকে এবং কার্যকরী পরিষদের প্রাক্তন সদস্যদের মধ্য হতে অনুর্ধ্ব দুজনকে কার্যকরী পরিষদের পরামর্শক্রমে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি থাকবেন এবং সেক্রেটারী জেনারেল পদাধিকার বলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হবেন। 
    ধারা-২২ঃ সামগ্রিকভাবে কার্যকরী পরিষদের ও ব্যক্তিগতভাবে এর সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদের তত্ত্বাবধানকেন্দ্রীয় সভাপতির তত্ত্বাবধানসংগঠনে ইসলামী নীতির অনুসৃতির তত্ত্বাবধানসংগঠনের কর্মসূচী বাস্তবায়নের তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণসংবিধান অনুসৃতির তত্ত্বাবধানসংগঠনের যে কোন মৌলিক ত্রুটি দূরীকরণসংগঠনের সামগ্রিক কাজের মৌলিক পরিকল্পনা প্রণয়নকেন্দ্রীয় সভাপতিকে পরামর্শ দাননিঃসংকোচে মত প্রকাশ এবং কার্যকরী পরিষদের অধিবেশনে নিয়মিত যোগদান অথবা অভিমত প্রেরণ। 
    সেক্রেটারীয়েটঃ
    ধারা-২৬ঃ কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সাথে পরামর্শ করে সেক্রেটারী জেনারেল ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগীয় সেক্রেটারীর সমন্বয়ে সেক্রেটারীয়েট গঠন করবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনবোধে পূর্ণ বা আংশিকভাবে তার সেক্রেটারীয়েটে রদবদল করতে পারবেন। 
    ধারা-২৭ঃ সেক্রেটারী জেনারেলের সেক্রেটারীয়েটের বিভাগগুলোর কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব থাকবে। অধঃস্তন সংগঠনগুলোর ও কর্মীদের উপর দৃষ্টি রাখা এবং কেন্দ্রীয় সভাপতিকে সমস্ত বিষয়ে ওয়াকিফহাল রাখা তার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হবে। 
    ধারা-২৮ঃ কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করাই সেক্রেটারিয়েটের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সেক্রেটারিয়েট কাজের জন্য সভাপতির নিকট দায়ী থাকবে। 
    সদস্য শাখাঃ
    ধারা-৩০ঃ দুয়ের অধিক সদস্য নিয়ে সদস্য শাখা’ গঠিত হবে। সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সদস্য শাখার সভাপতি এক বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। অনিবার্য কারণে কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্দেশে সদস্যগণ বছরের যে কোন সময়ে সদস্য শাখার সভাপতি নির্বাচিত করতে পারবেন।
    ধারা-৩১ঃ কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার ভিত্তিতে সংগঠনের কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্দেশাবলী পালনই সদস্য শাখার দায়িত্ব ও কর্তব্য। 
    নির্বাচনঃ
    ধারা-৩৪ঃ এই সংগঠনের সভাপতি বা কার্যকরী পরিষদের সদস্য বা অন্য কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি নির্বাচন করা কালে ব্যক্তির আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) এর প্রতি আনুগত্যতাক্বওয়াআদর্শের সঠিক জ্ঞানের পরিসরসাংগঠনিক প্রজ্ঞাশৃঙ্খলা বিধানের যোগ্যতামানসিক ভারসাম্যউদ্ভাবনী ও বিশ্লেষণী শক্তিকর্মের দৃঢ়তাঅনঢ় মনোবলআমানতদারী এবং পদের প্রতি লোভহীনতার দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।  
    ধারা-৩৫ঃ এই সংগঠনের যে কোন নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ক্যানভাসের অনুমতি থাকবে না। কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কোন গ্রুপ সৃষ্টি করা যাবে না। তবে পরামর্শ নেয়াটা ক্যানভাসের অন্তর্ভুক্ত হবে না। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত ব্যক্তিই নির্বাচিত বলে ঘোষিত হবেন। 
    অর্থ ব্যবস্থাঃ
    ধারা-৩৬ঃ সংগঠনের প্রত্যেক স্তরে বায়তুলমাল থাকবে। কর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের দানসংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা এবং যাকাতই হবে বায়তুলমালের আয়ের উৎস। 
    পদচ্যুতীঃ
    ধারা-৪১ঃ কেন্দ্রীয় সভাপতি যদি স্বেচ্ছায় শরীয়তের বিধান লঙ্ঘন করেন অথবা তার কার্যক্রমে সংগঠনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে তাকে পদচ্যুত করা যাবে। 
    সংবিধানের সংশোধনঃ
    ধারা-৪৭ঃএ সংবিধানের কোন সংশোধনী সরাসরি সদস্যদের সম্মেলনে সমস্ত সদস্যদের অধিকাংশের ভোটে মঞ্জুর করা যাবে। কিন্তু উক্ত সংশোধনীর নোটিশ সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার দুই সপ্তাহ আগে কেন্দ্রীয় সভাপতির নিকট পৌছাতে হবে। এই সংবিধানের কোন সংশোধনী কার্যকরী পরিষদের অধিকাংশের ভোটেও মঞ্জুর করা যাবে। কিন্তু এরূপ কোন সংশোধনী গৃহীত হবার দুই মাসের মধ্যেই সমস্ত সদস্যদের অধিকাংশের ভোটে তা মঞ্জুর করে নিতে হবে। 
    ধারা-৫০ঃ এ সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট যেসব ছাত্রের শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হয়ে যাবে তাদেরকে নিয়ে এ সংগঠনের একটি ভ্রাতৃশিবির গঠিত হবে। 

    কোন মন্তব্য নেই